প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯৬৩ সালের ১ মার্চ ‘‘চাইল্ড ওয়েলফেয়ার সেন্টার” নামে ইউনিসেফের সহযোগিতায় সমাজকল্যাণ একাডেমির সূচনা। পরবর্তীতে ১ ফেব্র“য়ারি ১৯৬৭ খ্রি: সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরকারিভাবে “সমাজকল্যাণ আন্তঃপ্রশিক্ষণ কেন্দ্র” নামক প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হতে থাকে। ১৯৮০-৮১ অর্থ বছরে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় আন্তঃপ্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে ‘জাতীয় সমাজকল্যাণ একাডেমি’তে উন্নীত করা হয়। পরবর্তীতে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী “জাতীয় সমাজকল্যাণ একাডেমি”র নাম পরিবর্তন করে “জাতীয় সমাজসেবা একাডেমি” হিসেবে নামকরণ হয়। ১৯৮৪ সালে এটি একটি স্থায়ী রাজস্ব খাতের প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
১৯৯৫-৯৬ সালে গৃহীত “সমাজকল্যাণ কমপ্লেক্স” নামে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জাতীয় সমাজসেবা একাডেমির জন্য পৃথকভাবে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। ঢাকার আগারগাঁওস্থ শেরে বাংলা নগরে নির্মিত “সমাজসেবা ভবন” চত্বরে জাতীয় সমাজসেবা একাডেমির নতুন নির্মিত ভবনে এর কার্যক্রম শুরু হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৪ জাতীয় সমাজসেবা একাডেমি ভবন এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে একটি পেশাদার প্রশিক্ষণ একাডেমি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আধুনিক প্রশিক্ষণ সামগ্রী ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চলছে। বর্তমানে একাডেমিতে একই সাথে ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী বসার জন্য দুটি প্রশিক্ষণকক্ষ, লাইব্রেরি, ক্যাফেটরিয়া ইত্যাদি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। একাডেমিভবনে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য বর্তমানে স্থায়ী কোন আবাসিক ব্যবস্থা নেই যা থাকা একান্ত অপরিহার্য। তবে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ‘সিডা’ কানাডা এর সহায়তায় অস্থায়ীভাবে ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলাস্থ ১৪টি কক্ষে মাত্র ৫৪ জন প্রশিক্ষণার্থীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।